চ্যাপ্টার ১ঃ আউটবাউন্ড
ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভেতরে বসে আছি। হাতে ইংল্যান্ডের বোর্ডিং পাস সহ বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট। এমন সময়ে ফেইসবুকে ঘুরতে থাকা একটা ভাইরাল পোস্টের কথা মনে পড়ে গেলো। পোস্টটা মোটামুটি এরকম-
“একবার যখন আপনি পাসপোর্ট হাতে বিদেশে পড়তে যাবার জন্য ইমিগ্রেশন শেষ করে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করেন, আপনি জানেন আপনি আপনার জীবন আর আগের মতো থাকছে না। নিজের বাড়িতে এরপর থেকে অতিথি হয়ে আসবেন, হয়তো আর কোনদিন নিজের দেশে আপনি ফিরবেন না।”
কিন্তু আমাকে ফিরে আসতে হবে। কারণ আমি ইংল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছি ২০২২ সালের একজন কমনওয়েলথ স্কলার হিসাবে। এক বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রাম। এই স্কলারশিপের নিয়ম হচ্ছে লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে কিছুদিন দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। বাড়িতে ফেলে এসেছি পুরো পরিবার। মনটা খারাপ। সেইসাথে জীবনে প্রথমবার দেশের বাইরে যাচ্ছি বলে বিশাল মানসিক চাপে আছি। প্লেনে না উঠা অব্দি শান্তি নেই। আমার ফ্লাইট ছিল গতকাল, মিরপুর সাড়ে এগারো থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে দলবলে রওনা দিলাম এয়ারপোর্টে, মিরপুর ১২ অব্দি যেতেই ইউনিভার্সিটি কোঅরডিনেটর ইমেইল করে বললো, “আজকে দয়া করে বাড়ি ফিরে যাও। তোমার ফ্লাইট সুইজারল্যান্ড ঘুরে আসবে। সেখানে ট্রান্সজিট ভিসার দরকার হতে পারে। আমরা তোমাকে কালকে আরেকটা নতুন টিকেট ম্যানেজ করে দিচ্ছি। আমি দুঃখিত।”
আমি ইমেইল দিলাম, “অনেক ধন্যবাদ! আরেকটা দিন বাংলাদেশে কাটানো যাবে। কোন তাড়াহুড়ার দরকার নেই।”
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ এর ফ্লাইটের টিকেট ওরাই ফ্রি করে দেয়। যাওয়া এবং আসা। সাথে ফ্রি টিউশন আর প্রতিমাসে একটা ভাল রকমের স্টাইপেন্ড। কমনওয়েলথ স্কলারশিপের এর অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে। সাধারণ মাস্টার্স আর পিএইচডি বলে যেটা পরিচিত- বাংলাদেশের ইউজিসি এর মাধ্যময়ে প্রথমে প্রার্থীদের শর্টলিস্ট করা হয়। সেই তালিকা থেকে কমনওয়েলথ ফাইনাল লিস্ট প্রকাশ করে। আরেকটা উপায় হচ্ছে, কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ – যেটার মাধ্যমে আমি যাচ্ছি। এখানে কমনওয়েলথ কমিশন আর ইউনিভার্সিটি দুজনে শেয়ার্ড উপায়ে প্রার্থী বাছাই করে, এবং স্কলারশিপ দেয়। ইউজিসির কোন ভূমিকা এখানে নেই। প্রক্রিয়াটা মোটামুটি এরকম- প্রথমে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ আর ইউনিভার্সিটি দুটোর জন্যই আলাদা আবেদন আবেদন করতে হয় এবং ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে অফার লেটার পেতে হয়। একমাত্র ইউনিভার্সিটি যদি কোন শিক্ষার্থীকে নোমিনেট করে, তবেই কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য তাকে শর্টলিস্ট করে, এরপর ফাইনাল বাছাই প্রক্রিয়া। আমার কাছে মনে হয়, যারা আমার মতো মধ্যম ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী, তাদের জন্য শেয়ার্ড প্রোগ্রামটা ভাল একটা অপশন। কারণ, ইউজিসিতে কম্পিটিশনটা হয় অনেক হাড্ডাহাড্ডি, প্রায় সবাই সেখানে টপার গোত্রীয় লোক। এর চেয়ে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা, গবেষণা আর এসওপিটা যদি সুন্দরভাবে গুছিয়ে ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার নেয়া যায়, তবে স্কলারশিপের সুযোগটা বেশি থাকে।
এতক্ষণে প্লেনে উঠে গেছি। প্রথমে যাবো দুবাই, এরপর ফ্লাইট চেঞ্জ করে লন্ডন। ঢাকা থেকে দুবাই এর উইন্ডো সিটটা আমার। সেখানে বসে আছেন আমার মায়ের বয়সী এক মহিলা। পাশে তার ২০/২১ বছরের ছেলে। মনে হলো, হয়তো প্রথমবার যাচ্ছে, আকাশ দেখবে, দেখুক না! ছেলেকে বললাম, প্রথম ঘণ্টাটা উনি বসুন, এরপর আমি বসবো, সমস্যা নাই। ওমা! এরপর উনি আর উঠবেনই না। অগত্যা ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট ডেকে আমার সিট আদায় করতে হলো। জয় স্যারের কথা মনে পড়লো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক আমাকে উপদেশ দিয়েছিলেন- ফ্লাইটে আধ বাড়িয়ে কাউকে কখনো দরদ দেখাতে যাবেন না। জয় স্যারের কথা আরেকটা কারণে মনে পড়লো। এই লোকটার জন্যই তাড়াহুড়া করে IELTS টেস্টটা দিয়েছিলাম অক্টোবর ২০২১ এ। স্যার একপ্রকার ধরেবেধেই IELTS এর রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন। আমি তখনো জানতাম না আমি কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য আদৌ আবেদন করবো কিনা। একে তো স্যোস্যাল সাইন্সের ছাত্র, এর উপর সিজিপিএ তো তেমন আহামরি কিছু নয় ( অনার্স ৩.২৮/৪.০০, মাস্টার্স ৩.৬৩/৪.০০)। থাকার মধ্যে আছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কয়েকটা জার্নাল পাবলিকেশন, ছয় মাসের গবেষণা অফিসার হিসাবে অভিজ্ঞতা আর এক্সট্রা কারিকুলাম কাজ (নাচ গানের কথা বলছি না, সোস্যাল ওয়ার্ক)। এই দিয়ে কি আসলে কিছু হবে? সত্যি কথা বলতে- স্কলারশিপের জন্য এইটুকুই যথেষ্ট যদি আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে আপনার প্রোফাইলকে উপস্থাপন করতে পারেন। যারা মনে করেন সোশ্যাল সাইন্স থেকে স্কলারশিপ পাওয়া যায় না কিংবা খুব ভালো সিজিপিএ প্রয়োজন হয়- আসলে ধারনাটি সত্য নয়। আপনার ভাল এসওপি আর রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স থাকলে ইংল্যান্ড বলেন আর আমেরিকা বলেন, দুজায়গাতেই স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব যদি আপনি যুক্তি আর প্রমাণ দিয়ে দেখাতে পারেন- “আমার হয়তো সব নাই, কিন্তু যা আছে তা তোমাদের বাকি ক্যান্ডিডেটদের চেয়ে সব মিলিয়ে কোন অংশে কম না।” ওরা কেবল এই জিনিসটাই খোঁজে।
এদিকে আমার আরেক দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গেছে। দুবাই থেকে লন্ডনের কানেক্টিং ফ্লাইটের আর মাত্র কিছু সময় বাকি, এখনো বিমান এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করেনি। ঢাকা থেকে দুবাই এর ফ্লাইট প্রায় ৩ ঘণ্টার উপর দেরি হয়েছে। দেরি হবার কারণ- উত্তরা ট্রাফিক জ্যাম! পাইলট আর কেবিন ক্রু-এর দল যে হোটেলে ছিলো, সেখান থেকে এয়ারপোর্ট আসতে তাদের ঢাকার কুখ্যাত জ্যাম পাড়ি দিতে হয়েছে। ফলাফল দুবাই থেকে লন্ডনের কানেক্টিং ফ্লাইট মিস। মিস করে একরকম লাভই হলো। আমাকে পরের দিনের ফ্লাইটের নতুন টিকেট দেয়া হলো। রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের হোটেলে থাকার ফ্রি ব্যাবস্থা। দুবাই- এক অসাধারণ জায়গা। দুনিয়ার সব অর্থবিত্ত দিয়ে যেনো পুরো শহরটাকে সাজানো হয়েছে। রাতের বেলায় একটা গাড়ি ভাড়া করে চললাম বুর্জ খলিফা আর জলনৃত্য দেখতে। সেখান থেকে ফিরে রাত বেশী না জেগে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল ১১ টা নাগাদ প্লেনে উঠে লন্ডন যখন নামলাম তখন লন্ডনে বিকাল ৫টার এদিকে সেদিকে বাজে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ইউনিভার্সিটি থেকে আমার নামসমেত প্ল্যাকার্ড নিয়ে ড্রাইভারের অপেক্ষা করার কথা। কিন্তু ফ্লাইট ডিলে হবার কারণে সব তালগোল পাকিয়ে গেছে। দেখা গেলো, আমার নাম উঁচু করে ধরে রাখার বদলে উল্টো আমিই ড্রাইভারের নাম মোবাইলে লিখে উঁচু করে ধরে রইলাম। ঘন্টাখানেক পর ড্রাইভার এলে রওনা দিলাম লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এ। এখানে আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠবো। এই পরিবারের প্রতি আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। দুটো ছোট ভাঙ্গে ভাগনি, বোন দুলাভাই এবং কাকা কাকি আমাকে পেয়ে এক কথায় কিং চার্লসের মতো আপ্যায়ন করা শুরু করলো। প্রায় দেড় মাস বোন দুলাভাই তাদের বেডরুম আমার জন্য ছেড়ে দিয়ে ফ্লোরিং করে থাকতে লাগলো। ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি মাঝেমাঝে তাদের সাথে লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। এই প্রথম আমার বিদেশী এক শহর দেখা, প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেনে চড়া, প্রথম মাল্টিকালচারের সাথে ক্লাস করা। আমার কমনওয়েলথ স্কলারশিপের দিনগুলি শুরু হলো এভাবেই।
চ্যাপ্টার ২ঃ ইনবাউন্ড
এই চ্যাপ্টারটা লিখতে বসেছি প্রায় এক বছর পর, থিসিস ড্রাফট জমা দেয়ার পর। মাঝের একটা বছরে অনেক কিছু হয়ে গেলো জীবনে। তাই প্রথম চ্যাপ্টারের সাথে তুলনামূলক পর্যালোচনা করা যেতে পারে। এখানকার লেখাপড়ার ধরন বাংলাদেশ থেকে অনেকটাই আলাদা। আমাদেরকে ক্রিটিকাল এনালাইসিস টাইপের এসাইনমেন্ট আর প্রেজেন্টেশন দিতে হয়, তার উপরেই মার্ক দেয়া হয়৷ প্রতি এসাইনমেন্ট এর আগে কোর্স টিচারের সাথে আলাদা মিটিং করতে হয়। আইডিয়া শুনে ওয়াও ওয়াও বলে তারা মুখে ফেনা তুলে ফেললেও প্রথম সেমিস্টারে ওয়েবসাইটে রেসাল্ট দেখতে গিয়ে দেখি একগাদা ফিডব্যাক। এদের মার্কিং সিস্টেমটাও আলাদা। এসাইমেন্ট এর লাইন ধরে ধরে ফিডব্যাক। মার্কিং ক্রাইটেরিয়ার আলাদা চার্ট থাকে, ওই চার্টে গিয়ে মার্ক দিতে হয়, জবাব দিতে হয় কেন কেউ কম মার্ক বা বেশি মার্ক পাবে। কাজেই যে পরীক্ষা দেয়, সে সহজেই বুঝে যায় কোথায় তার বেশি খাটতে হবে। লেখাপড়ার বাইরে প্রায়ই কমনওয়েলথ এর নানা কনফারেন্স, মিট আপ থাকে৷ একটা ইভেন্ট এ এতদিন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং পুরো রাজ পরিবার আসতেন, তার মৃত্যুর পর এবার আসলেন রাজা চার্লস। সে এক এলাহি ব্যাপার৷ মনে হবে আপনি “সিনডরেলা” গল্পের রাজার বাড়িতে এসে পড়েছেন। তবে আমার কাছে পুরো একবছরের সবথেকে যে বিষয়টা ভাল লেগেছে এখানকার মানুষের আচরণ। এরা থ্যাংক্স আর সরি বলতে ওস্তাদ। এদের বিনয় অন্য লেভেলের। বাস এ উঠলে ড্রাইভারকে থ্যাংক্স, নামবার সময় থ্যাংক্স (সেটা ড্রাইভার দেখুক বা না দেখুক), দোকানে, রাস্তাঘাটে, পথে প্রান্তরে সবার সাথে এখানকার মানুষ বিনয়ী। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কটাও আমাকে মুগ্ধ করেছে৷ আমার থিসিস সুপারভাইসর একদিন জুম মিটিং এ পিছিয়েছিলেন দেখে সরি বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন। এ ধরনের ব্যবহার আমাদের উপমহাদেশে স্বপ্নের মতো মনে হয়। আরেকটা উদাহরণ দেই। আমার ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রতিবছর একটা কনফারেস এর আয়োজন করা হয়। সেখানে আর্ট থেরাপি নামের একটা সেশন হয়। হিউম্যান ট্রাফিকিং ভিক্টিমদের জন্য এই থেরাপি বেশ কাজের। ছাত্র শিক্ষক সবাই গোল করে চেয়ারে বসেছি। খেরাপিতে একটা ইরানীয়ান মিউজিক প্লে করা হলো। একটা বিখ্যাত পেইটিং (নাম ভুলে গেছি) এর মতো করে নিজেকে অন্যের কোলে বসিয়ে বডির ভার ছেড়ে দিতে হয়, এবং আরেকজনকে নিজের কোলে বসিয়ে তার ঘাড়ের নিচে হাত দিয়ে শিশুর মতো সাপোর্ট দিতে হয়৷ সবাই গোল হয়ে থাকায় বসায় আমি বসলাম আমাদের প্রোগ্রাম ডিরেক্টরের কোলে। আর আমার কোলে এসে বসলো বুড়ো শিক্ষক পল ( ভাগ্যিস পল দেখতে আমার মতো হালকা পাতলা)! চিন্তা করে দেখেন তো, বাংলাদেশে আপনার ডিপার্টমেন্ট এ এক আপনি এক প্রফেসরের কোলে বসে আছেন, কিংবা আরেক প্রফেসরকে কোলে নিয়ে বসে আছেন! আমি নিজেও চিন্তা করতে পারি না! কারণ, সব স্থানের কালচার আর সেটিং এক হয় না৷ তবে একটু চেঞ্জ করা যেতে পারলে মন্দ হতো না৷ অন্তত, পরীক্ষায় কেউ খারাপ করলে কোন শিক্ষক যদি সেই ছেলেটাকে ডেকে নিয়ে রুমে বসিয়ে জিজ্ঞেস করে- “বাবা, তোমার রেসাল্ট খারাপ হলো কেন? আমি কি তোমায় কোন সাপোর্ট দিতে পারি?” – বিশ্বাস করেন, ছেলেটার চোখ আর হৃদয় ওই আর্ট থেরাপির মতো জলে ভিজে যাবে।
ডিপার্টমেন্ট এর কথা যেহেতু উঠলোই, তাহলে একটু আবেদন প্রক্রিয়াতে ডিপার্টমেন্ট চয়েসের বিষয়টা নিয়ে বলি। বাংলাদেশে আমি লেখাপড়া করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সাইন্সেস এ। পড়তে পড়তে রোহিংগা জনগোষ্ঠী নিয়ে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছিলো, এবং সেই ধারাবাহিকতায় তাদের নিয়ে কিছু গবেষণার কাজ করেছি। কমনওয়েলথ এ আমার কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেন্ট মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে Human Trafficking, Migration and Organised Crime- এই সাবজেক্ট টা ছিল, যার আবেদনের যোগত্যার সাথে আমার প্রোফাইলের সামঞ্জস্য ছিলো। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা সিজিপিএ, IELTS এর মানদণ্ড থাকে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট কতটি স্কলারশিপ দিচ্ছে সেটাও চেক করা (কমনওয়েলথ এর ওয়েবসাইটে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয়ে এ স্কলারশিপ দিচ্ছে সেটার পাশাপাশি কতগুলো স্কলারশিপ আছে, তাও দেয়া থাকে।) যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩-৪টা স্কলারশিপ দেয় তবে এটা সিলেক্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে কারণ তাতে আপনার নমিনেশনের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।এটা যদি আগে থেকে চেক করা যায় তবে সাবজেক্ট আর বিশ্ববিদ্যালয় চয়েস করার ক্ষেত্রে ভাল সহায়ক হতে পারে। এই লিঙ্কে আবেদন করার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি আর সাবজেক্ট লিস্ট এর পাশাপাশি কতগুলি স্কলারশিপ আছে তার নাম্বারও দেয়া আছে।
রেডি টু ডিপার্টঃ
অবশেষে বাংলাদেশ ফিরছি। এক বছরে অনেক গল্প জমে গেছে। প্রিয়মুখ গুলোর সামনে সেই গল্পগুলো না করা অব্দি শান্তি নেই। তবে আমাকে আবার ইংল্যান্ডে ফিরতে হবে কয়েকদিন পরেই। বলার লোভ সামলাতে পারছি না, আলহামদুলিল্লাহ আমার ফুল ফান্ডেড পিএইচডি এডমিশন হয়েছে পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটিতে। এখানকার রিফিউজিদের ইন্টারভিউ টেকনিক উন্নত করার জন্য গবেষণা করতে হবে। মাস্টার্সের মতো একই বিষয়ে পিএইচডি করার জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিটি সানন্দে আমাকে আরও চার বছর পিএইচডি করতে ইংল্যান্ডে থাকতে অনুমতি দিয়েছে। কিভাবে এই পিএইচডি ফান্ড ম্যানেজ করলাম, তার গল্প আজ তোলা থাক। আরেকদিন সময় করে বলা যাবে। আজ কেবল – স্বপ্ন যাবে বাড়ী আমার!
লেখাঃ ইয়াসির ইউনুছ
Commonwealth Scholar
PhD (Psychology) at University of Portsmouth University (2023- Current)
MA (Human Trafficking, Migration and Organised Crime), St Mary’s University (2022-2023)